আমার স্বামী আমার সাথে কথা বলছে না।

আজ প্রায় ছয়-সাত মাসের বেশি আমার স্বামী আমার সাথে কথা বলছে না। আমি মাফ চাচ্ছি। কমান্ড সেন্টারে বোঝাচ্ছি। হিলিংয়ে নাম দিচ্ছি, কোনোভাবেই তাকে স্বাভাবিক করতে পারছি না।

এটা তো উল্টা। সাধারণত স্ত্রীরা কথা বলে না। স্ত্রীদের মান ভাঙাতে হয়। আপনি তো উল্টোটা করছেন। স্বামীর মান ভাঙাচ্ছেন। ভাঙান, ভাঙাতে থাকেন। আজকে ভাঙছে না, ছয় সাত মাস হয়েছে তাতে কী? স্বামী তো আর ছয় সাত মাসের না। স্বামী তো সারা জীবনের। অতএব টেকটাইম। যেহেতু আপনার সাথেই আছে। খাওয়া দাওয়া সবকিছু করছে, শুধু কথা বলছে না। না বলুক, আপনি আপনার কর্তব্য করে যান। আপনিও কী করবেন? এখন থেকে কথা বলবেন না। সবকাজ করবেন, কিন্তু আপনিও কোনো কথা বলবেন না। খাবার দিচ্ছেন, এটা করছেন, সেটা দিচ্ছেন, কিন্তু কথা বলবেন না। যা কিছু করেন আকার ইঙ্গিতে করবেন।

আপনি বলবেন যে, যদি শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে যে তুমি এরকম করছো কেন? বলবেন যে না আমি ভাবছি যে আমি এক বোবার সংসার করছি। তো আমিও বোবা হয়ে গেছি। তো এখন তুমি যখন কথা বললে, তাই আমি কথা বলছি। আমার বোবাত্ব ঘুছে গেছে। কারণ আমি জানি যে স্বামী যা করে সেটারি অনুকরণ করতে হয় স্ত্রীকে। তুমি যখন বোবা, আমিও তখন বোবা, দুই বোবার সংসার। এমনকি অন্য কেউ এলেও আমরা কথা বলবো না। অর্থাৎ বিষয়টাকে এত সিরিয়াসলি দেখার কিছু নেই।

আর কমান্ডসেন্টারে এনে তাকে খুব ভালো করে বোঝান। যে আসলে ভুলতো মানুষেরই হয়। আমারও ভুল হয়েছে। তুমি তো আমাকে প্রচুর শাস্তি দিয়ে ফেলেছো। আমার যা শাস্তি পাওয়ার তা আমি পেয়ে গেছি। আর তাকে মনে করিয়ে দিন আপনাদের আনন্দের স্মৃতিগুলোকে।

আমরা আসলে যখন কারো সাথে সমস্যা হয় তখন কী করি? যেরকম ধরেন হয়তো স্বামী স্ত্রীর সাথে কোনকিছু ঝগড়া হয়েছে। মতবিরোধ হয়েছে। সাথে সাথে এর আগে স্বামী কতবার কতরকম খারাপ কথা বলেছে সব মনে পড়ে। স্ত্রী কতবার খারাপ কথা বলেছে সব লাইন ধরে একদম এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো মনে পড়ে। ফ্লাস ব্যাকে। যেকোনো সমস্যা হলে সব ভালো জিনিসগুলো কল্পনা করবেন। ভালো মুহুর্তগুলোকে কল্পনা করবেন। যত ভালো সময়গুলোকে কল্পনা করবেন দেখবেন যে দ্রুত আপনি সমস্যার সমাধান পেয়ে গেছেন।

Leave a comment